প্রজন্মডেস্ক: জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা আবদুল হান্নান মাসউদ খাগড়াছড়ির ধর্ষণের ঘটনার বিষয়ে প্রদত্ত মন্তব্যে(“ভুয়া ধর্ষণ” বলেন) দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন এবং ধর্ষকদের জন্য কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘ধর্ষণের মতো গর্হিত অপরাধকে কোনোভাবেই অস্বীকার করা যায় না। ধর্ষকের কঠোর থেকে কঠোরতর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’’

ঘটনাটির প্রেক্ষিতে এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটিতে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর একমাত্র প্রতিনিধি অলিক মৃ সোমবার সকালে পদত্যাগ করেন। অলিক মৃ বলেন, হান্নানের ‘ভুয়া ধর্ষণ’ শব্দচয়ন মিথ্যাচার—এবং দলের নীরবতা তা মেনে নেয়া যায় না—এই কারণেই তিনি পদত্যাগ করেছেন। অলিকের পদত্যাগের কিছুক্ষণ পর হান্নান মাসউদ একটি পোস্টে খাগড়াছড়ির ঘটনাকে নিয়েই বক্তব্য দিয়েছেন যেখানে তিনি দেশের সার্বভৌমত্ব ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষারও আহ্বান জানিয়েছেন; এরপর ওই পোস্ট মুছে দিয়ে দুপুরে একটি বিবৃতি দেন।

বিবৃতিতে হান্নান লেখেন, গত রোববার তিনি ভূক্তভোগী ও পরিস্থিতি নিয়ে এক বক্তব্যে ভুলবশত ‘ভুয়া ধর্ষণ’ শব্দটি ব্যবহার করে ফেলেছেন, যা তার উদ্দেশ্য ছিল না। তিনি এই অবাঞ্ছিত শব্দ ব্যবহারকে অনুতপ্ত হয়ে বাতলে দেন এবং আশা প্রকাশ করেন সবাই এটিকে তার মুহূর্তের ভুল হিসেবে দেখবেন। একই সঙ্গে তিনি পাহাড় ও সমতলের সব নাগরিকের প্রতি ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন এবং শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান।

ঘটনাটি নিয়ে বিভিন্ন প্রবক্তা ও রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখায়—ধারণা ও বিবৃতি নিয়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ায়। স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে তদন্ত ও ন্যায্য বিচার চেয়ে দাবি উঠেছে; অপরদিকে রাজনৈতিক নেতাদের বিবৃতি পরিস্থিতি শীতল করার আহ্বানও এসেছে।