প্রকাশিত: ০৭ জুলাই, ২০২৫ ১১:০৯:৫০
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, কালের কণ্ঠ ও কালবেলা প্রতিযোগিতায় নেমেছে কার থেকে কে বেশি প্রপাগাণ্ডা ছড়াতে পারে। বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার যারা চেষ্টা করেন তারাও এসব বিষয়ে বিব্রত।
সোমবার (৭ জুলাই) রাতে নিজের ফেসবুক পোস্টের কমেন্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।
পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ লিখেন, হাসিনার শাসনামলে রাষ্ট্র যখন হয়ে উঠেছিল জনতার শত্রু, তখন বসুন্ধরা গ্রুপের কিছু মিডিয়া শুধু চুপ ছিল না, তারা সক্রিয়ভাবে হাসিনার তাবেদারি করেছে, ফ্যাসিবাদকে সার্ভিস দিয়েছে।
তারা মিথ্যা প্রচার করেছে, প্রতিবাদী ছাত্রদের নামে কুৎসা রটিয়েছে। তারা ভিডিও এডিট করে বাস্তবতা পাল্টে দিয়েছে। তারা এমন এক ভয়ংকর প্রোপাগান্ডা মেশিনকে জ্বালিয়ে রেখেছে, যে মেশিন ছাত্রদের গুলি করেছে, ভিন্নমতকে নিষ্ঠুরভাবে চুপ করিয়েছে।
আজ সেই স্বৈরাচার পতনের বহুদিন পরও তারা থামেনি। একই কায়দায় আবারও কলম ধরেছে, ক্যামেরা চালু করেছে। জাতীয় নাগরিক পার্টির বিরুদ্ধে,নাগরিক পার্টির সদস্যদের বিরুদ্ধে যে কুৎসা রটানো তারা শুরু করেছে, তা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটা এক চেনা strategy। উদ্দেশ্য স্পষ্ট: যারা পরিবর্তন আনতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ছড়িয়ে কর্পোরেট স্বার্থ রক্ষা করা।
কালের কণ্ঠ ও কালবেলা প্রোপাগাণ্ডা ছড়ানোর প্রতিযোগিতায় নেমেছে: হাসনাত আবদুল্লাহ
এটা সাংবাদিকতা নয়। এটা ডার্ক অপারেশন। মিথ্যা আর বিভ্রান্তি ছড়িয়ে জনগণকে ঠকানোর অপারেশন।
আমরা মিডিয়ার স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। সেই স্বাধীনতা মানে দায়িত্ব, সত্যের প্রতি দায়, জনগণের প্রতি জবাবদিহিতা। যখন বড় কর্পোরেট মিডিয়া ভুল তথ্য ছড়িয়ে জনমতকে বিষিয়ে তোলে, opinion manufacture করার চেষ্টা করে, তখন ক্ষতি শুধু একটি দলের নয়। ক্ষতি গোটা গণতন্ত্রের।
আমরা গণঅভ্যুত্থান করেছি শুধু শেখ হাসিনাকে নামাতে নয়। আমাদের এই অভ্যুত্থান ছিল সমস্ত স্বৈরতন্ত্র, সমস্ত ক্ষমতার অপব্যবহার, সমস্ত মিথ্যার কারখানার বিরুদ্ধে,আমাদের অভ্যুত্থান ছিল সকল ধরনের কর্পোরেট মাফিয়া আর ফ্যাসিস্ট সাংবাদিকদের বিরুদ্ধেও।
সুতরাং, স্পষ্ট করে বলে দিই: আমরা document করছি। প্রতিটি মিথ্যা, প্রতিটি অপপ্রচার, প্রতিটি সাংবাদিকতার নামে অন্যায় আমরা document করছি।
যদি এই মিডিয়া হাউজগুলো সংবাদপত্র না হয়ে ফ্যাসিবাদ ফিরিয়ে আনার রাজনৈতিক অস্ত্র হয়ে থাকে, তাহলে তাদের জবাবদিহির মুখোমুখি হতেই হবে।
আপনারা জনগণের ঊর্ধ্বে নন। আর সত্যের ঊর্ধ্বে তো ননই। জীবন থাকতে বাংলার মাটিতে ফ্যাসিবাদের কোন ধরনের পুনর্বাসনই আমরা হতে দিব না।
পরে কমেন্ট বক্সে তিনি লিখেন, কালের কণ্ঠ ও কালবেলা প্রতিযোগিতায় নেমেছে কার থেকে কে বেশি প্রপাগাণ্ডা ছড়াতে পারে। বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার যারা চেষ্টা করেন তারাও এসব বিষয়ে বিব্রত।
প্রজন্মনিউজ/২৪
চরফ্যাশনে জামায়াত কর্মীদের ওপর বিএনপির হামলা, আহত অর্ধশতাধিক
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পাশে দাঁড়িয়ে তাকে পদত্যাগের আল্টিমেটাম ডাকসু ভিপির
১৬ই ডিসেম্বর ৪০ মিনিট বন্ধ থাকবে মেট্রোরেল
পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে খাইবার পাখতুনখোয়ায় ১৩ জন নিহত
আনিস আলমগীরকে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে গ্রেফতার দেখাল পুলিশ
পেছাতে পারে পাকিস্তানের বাংলাদেশ সফর
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে বিদেশি চার পিস্তল উদ্ধার
লন্ডনে তারেক রহমানের জনসভা মঙ্গলবার